নাটোরের বড়াইগ্রামের মকিমপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে কলেজ ছাত্র আল আমিন হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী শুটার মানিক ওরফে সুমন (৪৮) বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তিনি গাড়ি ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১৫টির অধিক মামলার আসামি। বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার রাত দুইটার দিকে তিনি গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহত মানিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরী শেরপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।
জানা যায়, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজ ছাত্রকে গুলি করে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় শুটার মানিককে আটক করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আল আমিন হত্যাসহ সম্প্রতি লালপুরে অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটর সাইকেল ছিনতাই ও অটোচালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মানিক।
শনিবার রাতে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বড়াইগ্রাম থেকে লালপুর থানায় নেয়া হচ্ছিল। পথে গোপালপুরের তোফাকাটা মোড়ে পৌঁছলে শুটার মানিকের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে সে গুলিবিদ্ধ হয়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়, এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন অর রশিদ জানান, শুটার মানিকের নামে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় ১৫ টির অধিক মামলা রয়েছে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পালানোর চেষ্টাকালে মানিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তার অপর সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।