মুলাদীতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুলাদী বেলতলা কেন্দ্রিয় ঈদগাঁ থেকে গালর্স স্কুল সংযোগ সড়কে মানববন্ধন করে। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক সংস্কারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেয়। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিদারুল আহসান খান জানান ১৯৯৫ সালের দিকে তৎকালীন সংসদ সদস্য মুলাদী কেন্দ্রিয় ঈদগাঁ থেকে গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করেন। এরপর দুই যুগ অতিবাহিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬শতাধিক ছাত্রী ওই সড়কের কাঁদা-পানি পেরিয়ে যাওয়া আসা করে। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে গেলে তারা ক্লাস না করে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা গঠিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালে মুলাদী পৌরসভা ক শ্রেণিতে উন্নীত হলেও সড়কটির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ধীরে ধীরে যান ও সাধারণ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কারের দাবী জানিয়ে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার মানববন্ধন করে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সড়কে জমে থাকা পানিতে বঁড়শি ফেলে প্রতিকী মাছ ধরে সড়ক সংষ্কার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনায়েত হোসেন জানান বর্ষার শুরুতে ভাঙ্গা সড়কের খাদে পড়ে ইতোমধ্যে কয়েক ছাত্রী আহত হয়েছে। সড়কের খাদে পানি জমে থাকার কারণে ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে চাইছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান শিক্ষাথীদের দেওয়া স্মারকলিপি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুলাদী পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুলাদী পৌরসভার মেয়র মোঃ শফিক উজ্জামান রুবেল জানান সড়কটির নির্মাণ কাজ চলিতেছে কিন্তু গফুর মল্লিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ তারিকুল হাসান মিঠু খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে মানববন্ধন করিয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন।