নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় কেঁচো সার উৎপাদন এবং ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে খানসামা উপজেলার আরাজী জুগীরঘোপা গ্রামের ‘আরাজী জুগীরঘোপা’ সিআইজি দল। দলটি উন্নত কৃষি ও টেকসই প্রযুক্তি প্রযুক্তি গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় দলটি ভার্মি কম্পোস্টের উপর প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী পায়। পরে দলের প্রতিটি সদস্যসহ গ্রামের অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় ৪০ টি পরিবার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন এবং ব্যবহার করছে। ফলে নিজেরা ব্যবহার করেও দলটি প্রায় ১০টন কেঁচো সার বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। সমবায় দপ্তর হতে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত এ দলটির বর্তমান সঞ্চয় প্রায় ছয় লক্ষ টাকায় দাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে কেঁচো সারের প্যাকেটজাতকরণ ও বিপণন করার চেষ্ঠা করছে বলে জানান ‘আরাজী জুগীরঘোপা’ সিআইজি দলের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা।
‘আরাজী জুগীর ঘোপা’ সিআইজি (পুরুষ) দলের সদস্যরা জানায়, সবজি উৎপাদন এলাকায় পরিবেশবান্ধব উপায়ে উৎপাদিত কেঁচো সারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপদ বালাই দমন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে(সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার) দলটি বেগুন, করলা, মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন ও বিপণন করছে। এছাড়াও পুষ্টির চাহিদা পূরণে এবং বাড়তি আয়ের জন্যে চাষ হচ্ছে বারি মালটা-১ এবং বারি আম-৪। ম্যাচিং গ্রান্টের অর্থে ধান, গম ও ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র ক্রয় করে এলাকায় ব্যবহার করে এ যাবৎ আয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। দলটি রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস করে জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন, দলগতভাবে কেঁচো সারের বানিজ্যিকিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
‘আরাজী জুগীর ঘোপা’ সিআইজি দলের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন যে, এনএটিপি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং সুফল পাচ্ছি। এনএটিপি প্রযুক্তিসমূহ নিজেরা অনুসরন করছি এবং অন্যান্যের প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করছি।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এনএটিপির মাধ্যমে খানসামা উপজেলার ৬০টি সিআইজি দল কৃষির নতুন প্রযুক্তি, বিভিন্ন উন্নতজাত সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে ‘আরাজী জুগীর ঘোপা’ দলটি ভার্মি পল্ল¬ীতে রূপান্তর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রশংসার দাবী রাখে। দলটি স্বাবলম্বী হওয়ার পিছনে অবদান রাখছে।