ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জটি বানিজ্যিক উপজেলা বওল খ্যাত। বিশেষ করে পৌর এলাকায় যুগযুগ ধোরে রতি মহারতি ব্যাক্তিরা বে-আইনীভাবে সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পাকা ইমারত গড়ে যুগযুগ ধরে নিরাপদে নির্বিগ্নে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে জনবান্ধব সরকারের উপরি মহলের নির্দেশে পৌর সভার উপনির্বাচনে তরুন মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফ জনগনের ভোটে নির্বাচিত হন।
কালীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ মেয়রের নির্দেশে পৌরসভার সকল রাস্তার দু,পাশ থেকে সরকারি জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেবার জন্য একাধিক বার মাইকিং করে জানানো হয়। এর অঅগে পৌরসভা ও রেলওয়ে বিভাগ সার্ভেয়ারের মাধ্যমে ম্যাফ দেখে কয়েক দফা সিমানা মাপামাপি করে সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে নির্মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাল রং দিয়ে চিহ্ন দিয়ে দখলদার মালিকদের নিজ খরচে ভেঙ্গে নেবার অনুরোধ করা হলে ও তাতে কর্নপাত করেনি অবৈধ দখলবাজরা। ফলে বাধ্য হয়ে দীর্ঘ এক মাস পরে কালীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক গত ২৬ জুন বুল ড্রেজার ও ভ্যাকু দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিজান শুরু করে। গুড়িয়ে দেওয়া হয় ধনাঢ্য কয়েক ব্যবসায়ি ও কয়েকজন মিয়ার স্থাপনা।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফের এই কঠোর মনোভাবের কারণে পরদিন ২৭ জুন থেকে অবৈধ দখলদার, মালিক ও দোকানিরা নিজেরাই রাজমিস্ত্রি নিয়ে দিনরাত বিরামহীন ভাবে সরকারি সম্পত্তিতে নির্মিত কাঁচা =পাকা ইমারত ভাংচুরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে কালীগঞ্জে এখন রাজমিস্ত্রি সংকট চরম আকার ধারন করায় দোকান মালিকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভাংচুর কাজ করছে।
আগামি বুধবার আবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিজান পরিচালিত হবে। যে কারণে ধনাট্য ব্যাক্তিরা তাদের অবৈধ স্থাপনা, বাসাবাড়ি,চাতাল,প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিচ্ছে। এই অবেধ স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে মেয়র আশরাফুল ইসলামের ব্যাপক প্রশংসা সু-বাতাস বয়ে চোলেছে।