পাবনার চাটমোহরে সরকারী রাস্তা দখল করে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন,এলাকায় দখলদার হিসেবে পরিচিত পুলিশের (অবঃ) আর.আই ওয়াজ উদ্দিন এবার সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন। পুলিশের এ সাবেক কর্মকর্তা চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেনগ্রামের মৃত আলহাজ এনায়েত আলী প্রাং এর ছেলে। গত শুক্রবার ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তিনি সরকারি রাস্তা দখলে নিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন।
জানা গেছে,বছর তিনেক পূর্বে পুলিশ বাহিনী থেকে অবসরে আসেন ওয়াজ উদ্দিন। এরপর থেকে গ্রামের পৈত্রিক ২৭ শতক বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। মৃত আলহাজ এনায়েত আলী প্রাং এর ৬ ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রী মোট ১০ জন এ সম্পত্তির ওয়ারিশ হলেও তিনি একাই পুরো জায়গাটি নিজের দখলে রেখেছেন। প্রায় দুই বছর পূর্বে তিনি তার ছোট ভাই ছাইফুল ইসলামের অপর একটি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেন। এ ছাড়া এলাকায় আরো দুটি বিরোধপূর্ণ জায়গা ক্রয় করেন যা এখনো দখলে নিতে পারেননি। গত বছর তিনি তার দ্বিতীয় মায়ের নিকট থেকে সাতটি জমির অংশ কিনে নেন। বন্টকনামা না হওয়া সত্বেও তিনি দলিলে জমিগুলোর ভাল সাইডগুলো উল্লেখ করে সেগুলো দখলের চেষ্টা করছেন। গত ২১ জুন শ্রক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দুই দফায় তিনি ও তার সহযোগীরা তার অপর ভাই জামাত আলীর ভোগ দখলীয় উত্তরসেনগ্রাম মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৫৮, দাগ নং ২২৬৫ এর উপর নির্মিত একটি ঘর ভেঙ্গে দেন। জামাত আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওয়াজ উদ্দিন ও তার সহযোগিরা জামাত আলী এবং তার ছেলে সাংবাদিক ইকবাল কবীরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এ ব্যাপারে জামাত আলী গত ২২ জুন চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার তিনি বিলচলন ইউনয়নের বওশা ব্রীজ এলাকার মসজিদের পাশে সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।
এলাকাবাসী জানান,ওয়াজ উদ্দিন কর্তৃক দখলকৃত এ রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। তিনি দখল করার ফলে এ রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দখলদারের কবল থেকে সরকারি এ রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত দখলদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আর,আই ওয়াজ উদ্দিন বলেন, এখানে আমাদের ৫৪ শতক জমি রয়েছে। আমি ঐ জায়গায় ঘর উঠানোর আগে পরিমাপ করিনি, তবে সরকারি জায়গায় ঘর যদি উঠে থাকে তাহলে আমি তা সরিয়ে নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঐ ব্যক্তিকে তার জমির কাগজপত্রাদী নিয়ে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। সরকারি জায়গায় সে যদি ঘর উঠিয়ে থাকে অবশ্যই তাকে সেটা সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হবে।