টানা এক মাসব্যাপী প্রচন্ড গরমের পর শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ক্ষনিকের বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছে নগরবাসীর মধ্যে। তবে প্রবল বর্ষণে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীদের।
প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকাল থেকে বরিশালে প্রচন্ড গরমে মানুষ অতিষ্ট হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ১১টা ১০ মিনিটের দিকে নগরীতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু করে। হঠাৎ করে বৃষ্টির দেখা মেলায় দিনমজুর ও পথচারীদের কিছুটা কাজে কর্মে বিঘœ ঘটলেও তারপরেও দেখা গেছে তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তির পরশ বইতে শুরু করেছে। এসময় কয়েকজন ভ্যানচালক ও রিকসা চালকরা বলেন, এতোদিন যে গরমে কষ্ট করেছি আজকের সামান্যতম বৃষ্টিতে মনে হচ্ছে কয়েক বছরের শান্তি মনের ভেতর বাসা বেঁধেছে। অপরদিকে মাত্র ৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে নগরীর সাংবাদিক মইনুল হোসেন ও সরকারী মহিলা কলেজের সড়কটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে সরকারী মহিলা কলেজে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা কয়েকশ’ পরীক্ষার্থীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সড়কের জলাবদ্ধতা পেরিয়ে পরীক্ষা শেষে তাদের ফিরতে দেখা গেছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা এবং ফিরে যাবার সময়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, একদিকে প্রেসক্লাব অপরদিকে সরকারী মহিলা কলেজ থাকার পরেও রাস্তার যে করুন দশা এর চেয়ে উপজেলা কিংবা গ্রামের রাস্তা অনেক ভাল, সেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকেনা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের অবজারভার রুবেল হোসেন বলেন, বেলা ১১টা ১০মিনিট থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আষাঢ় মাস চললেও সেই মাসের কোন প্রমান তারা পাচ্ছেন না। এখন মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় মাঝে মধ্যে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।