উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে শৈলকুপার ধর্মপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অভিনব কৌশলে মেতে উঠেছে প্রতিপক্ষরা।এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৫ নং কাচেঁর কোল ইউনিয়নের ধর্মপাড়া গ্রামে উপজেলা নির্বাচনের পরথেকেই সামাজিক বিরোধ ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা কে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষকে ঘায়েল করতে অভিনব কৌশলে মেতে উঠেছে প্রতিপক্ষরা। এদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা প্রতিবন্দি ব্যাক্তিরা। অভিনব কৌশলের কারণে গ্রামের মাঠে কৃষকের লাগানো ধান ক্ষেত পানির অভাবে ফেঠে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাইনা মাঠ ,হাটবাজার, ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গ্রামের প্রতিবন্ধি আজমল হোসেন জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের কালাম মন্ডল, সেকেন মন্ডল ও আশরাফ হোসেন গ্রুপের সমর্থকরা আমার বডিংয়ের মধ্যে ইট বালু দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে যার করনে আমাদের প্রায় ২০ একর মাঠের লাগানো ধানের জমি পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেই সাথে ৩টা স্যালোইন্জিন চুরি করে নিয়ে গেছে বলেও তিনি দাবি করেন। পানির অভাবে মাঠের লাগানো ফসলের জমি শুকিয়ে আবাদ কৃত ফসল মরে যাচ্ছে। গ্রামের তিজারত হোসেন বলেন নির্বাচনের পর প্রতিপক্ষ আনারস গ্রুপের সর্মথকরা নৌকা সমর্থক রিপন, লিটন, শরিফুল ,মন্টু, সাধনা বেগম ,কাদের, কাজি আবদুল কাদের, জুলহাস, সবুজ, জামিরুল, রিপন,প্রতিবন্ধি আজমল হোসেন ও টেন্টুসহ ২০/২৫ জনের বাড়ি ভাঙচুর করে গরু ,ছাগল, নগদ টাকা, সোনা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় কোটি টাকার মালামালা তারা লুটপাট করে নিয়ে যায়। কৃষক উজ্জ্বল হোসেন জানান, ভোটের পর আমরা হাট বাজার মাঠ ঘাটে যেতে পারছি না। আমাদের ২টা বডিং নষ্ট করে দিয়েছে ৩টা মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে এমনকি পতিপক্ষরা নিজেদের জমির পটল গাছ, মরিচগাছ ও কলা গাছ কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করারও পায়তারা চালাচ্ছে। বর্তমান মেম্বর সাহেব আলী জানান জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার কারণে আমাদেও গ্রামের আনারস মার্কার সমর্থকরা উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোক জনের হাটবাজার মাট ঘাট সব বন্ধ করে দিয়েছে আমরা গৃহবন্দি অবস্থায় আছি। আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে ও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও কোন সহসোগিতা পায়নি বলেও জানান। এ ব্যাপারে জানার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান এ্যাড. সালাউদ্দিন জোয়াদ্দার মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগা যোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কচুঁয়া তদন্ত ক্যাম্পের পুলিশ কর্মকর্তা এস আই সাগর জানান আমি এখানে নতুন এসেছি । আইনশৃংখলার অবনতি যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ রাখব।
শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ-সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আসেনি, আসলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।