নওগাঁর সাপাহারে আমবাগানে বসে ইয়াবা সেবন কালে এক স্কুল শিক্ষক কে হাতে নাতে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। একই ঘটনায় পলাতক ৩ জন সহ মোট ৪জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত রোববার সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে উপজেলার কোচকুড়লিয়া-নিশ্চিন্তপুর রাস্তার পাশে অবস্থিত হাসান আলীর আম বাগানে বসে কয়েকজন স্কুল মাদ্রাসার মাদকসেবী শিক্ষক ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাপাহার থানা পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক সেবীগণ আম বাগানের ভিতর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে এস আই শাহরিয়ার পারভেজ তাদের পিছু ধাওয়া করে উপজেলার গৌরীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালাউদ্দীন সিরাজ ওরফে সেলিম কে আটক করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অন্য মাদকসেবীগণ পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনা স্থলে থেকে তাদের তিনটি মোটর সাইকেল পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত পলাতক মাদকসেবীদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায় চার জনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে পরদিন সোমবার আটক শিক্ষক সেলিম কে নওগাঁ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। পলাতক মাদকসেবীরা হলো উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান মাষ্টারের ছেলে ও আইহাই উচ্চবিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক রাসেল বাবু একই এলাকার রসুলপুর গ্রামের বোরহান উদ্দীন মাষ্টারের ছেলে বদিউজ্জামান ও আলহাজ¦ নুরুল ইসলামের ছেলে ও ভাবুক এন এস দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্বপন। এ বিষয়ে সাপাহার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন যে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।