জেলার হিজলা উপজেলার একতা বাজার সংলগ্ন সাহাবুদ্দিন চৌধুরীপাড়া এলাকায় পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ঘুরতে আসা এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর ওইদিন রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে নির্যাতিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
হিজলা থানার ওসি মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, ২৫ বছর বয়সের ওই গৃহবধূর বাড়ি হিজলা উপজেলার পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের ধুলিয়া মধ্যচর গ্রামে। সে তার স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকেন। ঈদের ছুটিতে সে তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূ তার পরকীয়া প্রেমিক বরগুনার আমতলী উপজেলার মৌপাড়া এলাকার ছোটবগি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার আলীর পুত্র জাকির হোসেন গোলন্দাজের সাথে সাহাবুদ্দিন চৌধুরীপাড়ায় ঘুরতে আসে। সেখানে তাদের ওপর সন্দেহ হয় স্থানীয় একদল বখাটের। তারা পরকীয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রেমিক বরিশাল নগরীর ইজিবাইক চালক জাকির হোসেনকে মারধর করে। পরে ওই গৃহবধূকে পাশ্ববর্তী একটি নির্জন বাগানের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈনুদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ ও তার সাথে থাকা যুবককে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মামুন নামের একজনকে আটক করা হয়। নির্যাতিতা গৃহবধূর উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি বলেন, ৪/৫জন বখাটে যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তবে মামুন নামের যাকে আটক করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ না থাকলেও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া মামুনের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষকদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
ওসি আরও বলেন, জাকির হোসেন ও নির্যাতিতা গৃহবধূর দাবি তাদের সাথে কোন পরকীয়ার সম্পর্ক নেই। তবে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া খেয়াঘাটে তাদের পরিচয় হওয়ার পর তারা দু’জন এক সাথে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বখাটেরা জাকিরকে মারধর করে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।