ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর-মৈনট নৌরুটে ট্রলার ও ষ্পীডবোট ভাড়া নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীর করতে গিয়ে চুপসে গেছেন বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্যোগী ছাত্ররা। এদিকে পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহনের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিকরা ছুটে গিয়ে শুধু হয়রানীর শিকার হয়েছেন। ভাড়া নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছাত্রদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহেদ আহাম্মেদ সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শামীম মীর মালতকে সোমবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে নিয়ে গোপন বৈঠক করেন ইজারাদার। ঘাট ইজারাদারের সাথে বৈঠক শেষে ছাত্ররা আপাতত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন না বলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন। ফলে ওই নৌরুটে ঘুরমুখো ঈদ যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেনি।
এ ব্যপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, “ ভাড়া নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে আপাতত আমরা কর্মসূচি পালন করবো না, তবে ঘাট দু’টি মনিটর করবো”। ভাড়া নৈরাজ্যর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষনাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মীর মালত বলেন, “ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সোমবার সকালে ঢাকা থেকে উপজেলার গোপালপুর পদ্মার ঘাটে এসে পৌছার পর ঘাট কর্তৃপক্ষ আমার সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। তারা শুধু আমার গায়ে হাত দেয় নাই কিন্তু আমাকে লাঞ্চিত করার আর কোনো কিছু বাকী রাখে নাই। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে ঘাট ইজারাদারের সাথে বৈঠক হয়েছে। ঈদের পরে আমাদের ডেকে ইজারাদার ভাড়া মূল্য কমানোর ওয়াদা করেছেন”। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ আহাম্মেদ জানায়, “ বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য আমি সোমবার ভোরে উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারে মৈনট ঘাট গিয়ে ভাড়া নৈরাজ্য লক্ষ্য করেছি। এ ঘাটে ষ্পীডবোটে যাত্রী প্রতি ২৫০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে এ ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করছে না বলেও তিনি জানান”।