ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভায় সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সরকারি কোন আর্থিক অনুদান-থোক বরাদ্দ ছাড়াও অনেক সাহসী পদক্ষেপ এবং জনকল্যাকর কাজে সফলতার পথে মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ।দায়িত্ব গ্রহনের পর পরই কালীগঞ্জ পৌরসভার নতুন এ মেয়র একের পর এক জনকল্যান এবং জন উন্নয়নমূলক কাজে ইতোমধ্যে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
পৌর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপ হিসেবে অনেক গুলো উন্নয়ন কাজ করেছেন। শহরের নতুন ড্রেন এবং পুরাতন ড্রেন মেরামত, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পূর্ণ করা সহ সকল প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নমুনা প্রদর্শন করেছেন। পৌর পিতা হবার পর প্রথম সভাতেই তিনি যে সকল প্রথিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গিকার মৌখিক ভাবে ব্যাক্ত করেছিলেন, সমসাময়িক উন্নয়ন ও কার্যক্রম তারই অংশ বিশেষ। পৌর সভার উন্নয়নে পৌরবাসীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল প্রকার উন্নয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করলে এই জনহিতকর কাজ খুব শিঘ্রই পৌরবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।
কালীগঞ্জ পৌরসভার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে বর্তমান মেয়রই সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে ঝুলে থাকা সকল শাখার বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশোধে সচেষ্ট রয়েছেন।এবিষয়ে পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে একান্ত আলাপকালে তারা সকলেই মেয়রের এসব কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মেয়রের প্রতি তাদের অঘাত আস্থা রয়েছে।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মকছেদ আলী বিশ্বাসের মৃত্যুর পর এ পৌরসভার মেয়র পদটি শুন্য হলে আশরাফুল আলম আশরাফ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরপর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী হয়ে ১১,৫৭৭ ভোট নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু মোবাইল ফোন প্রতিকে পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৯৯৮ ভোট। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বিজয় ছিনিয়ে আনে। তিনি যে শহরের স্বপ্ন দেখে অদূর ভবিষ্যতে কালীগঞ্জ পৌরসভা সেই শহরে পরিনত হবে বলে আশা করেন তিনি। সারা দেশের মধ্যে কালীগঞ্জ একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে আক্ষায়িত হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার র্ভারপাপ্ত মেয়র থাকা অবস্থায় অনেগুলো প্রশংশনিয় ও মহতি উদ্যোগ গ্রহন করে ছিলেন এই মহতি উদ্যোগ হলো-১৮ বছরের নিচে তরুদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি না করতে দোকানদার ও বিড়ি-সিগারেট বিক্রেতাদের অনুরোধ করেছিলেন। যে সকল দোকানে তামাকজাত দ্রব্য (বিড়ি, সিগারেট) বিক্রি করা হবে তার জন্য আগে থেকেই পৌরসভার কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসের ২৭ তারিখ এদিন সকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার নতুন বাজার এলাকার ব্রীক ফিল্ডের পাশে অবস্থিত বেশ কয়েকটি মাদকের আখড়া ও বিক্রয়ের জন্য যে সমস্থ টিনের ও গোলপাতার ঘর ব্যবহার করতে সে ঘরগুলো ভেঙ্গে দেন মেয়র আশরাফ নিজে উপস্থিত থেকে। তখন মেয়র সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ পৌর এলাকাকে মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে মাদকের এইসব আখড়াগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সেখানে এলাকায় ২ জনচিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাদকবিক্রি ও সেবন করতো। তারা এখনও পলাতক রয়েছে।গত বছরের ১৫ জুলাই অসহায় প্রতিবন্ধী দীলিপ কুমার (৫৬) প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড দিয়েছিলেন মেয়র আশরাফ। উল্লেখ্য, শারীরীক প্রতিবন্ধী দিলীপ কুমার শহরের নলডাঙ্গা রোডে বসে গজা, বাদান নিমকি ছোলাসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো। সকালে স্ত্রী তাকে সেখানে দিয়ে যেতেন আর সন্ধ্যায় বাড়ি নিয়ে যেতেন।
গত বছরের ২৭ জুন মাসে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার কাশীপুর গ্রামে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গীরা প্রতিবেশি রাজু আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। মিজানুর মাদকদ্রব্য প্রতিবেশি রাজুর বাড়িতে রাখার প্রস্তাব দিলে রাজু এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজুর পরিবারের উপর এই নির্মম নির্যাতন চালায়। হামলায় রাজুসহ তার স্ত্রী মনোয়ার বেগম, শ্বশুর আবদুল মালেক, শাশুড়ি আম্বিয়া বেগম, শ্যালিকা তহমিনাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। আহতদের সবাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন মেয়র আশরাফ।
২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ শহরে পোষ্ট অফিসের পেছনের ধানের জমিতে এক নবজাতক শিশুরমৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।সংবাদ পেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় সাথে ছিলেন মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। তাৎক্ষনিক ভাবে সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার মেয়র আশরাফকে শিশুটি উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। মেয়র পৌরসভার কর্মীদের সহযোগিতায় নবজাতকের দাফনের সুব্যবস্থা করেনচলতি বছরের ১৯ এপ্রিল কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আরিফ মোল্লার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখতে পান মেয়র সেখানে লেখা ছিল, কালীগঞ্জ কলেজ পাড়ার দরিদ্র ভ্যান চালক খোকন দাসের মেয়ে ১০ বছরের প্রতিবন্ধি মেয়ে মিথিলার একটি হুইল চেয়ারের প্রয়োজন। বিষয়টি মেয়রের দৃষ্টিগোচর হয়। তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি প্রতিবন্ধি মিথিলা দাসের একটি হুইল চেয়ারের দেন।গত ১৬ মে পবিত্র রমজানের সময়ে প্রচন্ড গরমে নিজ উদ্যোগে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই ইফতারীতে স্যালাইন যোগ করতেই তিনি শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ডে সকাল থেকে নিজ হাতে প্রায় ৩ হাজার খাওয়ার স্যালাইন বিতরন করেছেন। রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক, শহরে কর্মরত শ্রমিক শ্রেনীর মানুষসহ পথচারীদের হাতে স্যালাইন তুলে দেয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার খয়েরতলা থেকে আনন্দবাগের ১কিলোমিটার রাস্তা ৩৮ লক্ষ টাকা এবং ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বলিদাপাড়া গ্রামে ৩শত ফুট ড্রেন কাজ শত ব্যস্তার মধ্যেও নিয়মিত পরিদর্শন করতে দেখা যায়। পৌর এলাকাকে মাদক মুক্ত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।রমজান মাসে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় পথচারী ও শহরের বিভিন্ন দোকানীদের মধ্যে এই লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে এই মেয়রকে। এ সময় তিনি রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।পবিত্র রমজান মাসে পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পৌরসভার সেবা নিতে আসা পৌর নাগরীকদের নামাজের জন্য স্থায়ী নামাজ ঘর করেছেন। এ সময় মেয়র আশরাফ বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পৌরবাসী বিভিন্ন সময় পৌর সেবা নিতে পৌর দপ্তরে আসেন তাদের নামাজ আদায় করতে দূরে যেতে হয় এজন্য পৌর ভবনেই একটা সুন্দর পরিপাটি করে নামাজ পড়ার ঘরের পরিকল্পনা ছিল অনেক আগে থেকেই। এখন মাহে রমজান উপলক্ষে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করলাম।