রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের মুল্যবান ৩৩টি গাছের কান্ড ও ডালপালা কেটে তছরুপ করেছে একটি মহল। এতে সরকার প্রায় ৪ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। গত ৩ মে সারাদেশে ঘুর্নিঝড় ফনীর প্রভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর গাছের ডালপালা কাটার আবেদন জানান। ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফনীর আশঙ্কা মুক্ত হওয়ার পর গত ৪ মে সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক ৩৩টি গাছের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন ৭টি গাছের ডালপালা কেটে ফেলার মৌখিক নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ পাওয়ার পর স্থানীয়রা কাঠমিস্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে মূল্যবান গাছগুলো প্রথমে ডালপালা ছেঁটে দিয়ে পরে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গাছের উপরের বেশী অংশ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মুল্যবান কান্ডগুলো কৌশলে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে একটি মহল। এদিকে আমিনুর রহমান খোকন নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দূল মমিন সরেজমিন পরিদর্শন করে ৫০ থেকে ৬০ ফিট লম্বা ৩৩টি গাছ চিহ্নিত করে সেগুলোর ডালপালা কাটার সুপারিশ করেন। সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম মোস্তফা কামাল জানান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু গাছের ডালপালা কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। পরবর্তীতে বেশ কিছু গাছের কান্ড কর্তনের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মমিন বলেন- কিছু সংখ্যক গাছের ডালপালা কাটার সুপারিশ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন; ঘুর্নিঝড় ফনীর কারণে ঝুঁকিপূর্ন ৭টি গাছের ডালপালা কাটার জন্য বলেছিলাম।