ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে চলছে জাল টাকার ছড়াছড়ি। ঈদকে সামনে রেখে জালনোট ছড়িয়ে দিতে এখন থেকেই প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে শহরে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নগদ টাকা লেনদেনের সময় এক হাজার ও ৫০০ টাকার জালনোট ছড়িয়ে দিচ্ছে এই চক্র। কালীগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে কৌশলে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই টাকা জালকারী চক্রটি। বর্তমানে জাল টাকার বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই প্রতারিত হয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরাও নগদ টাকার লেনদেনে জাল টাকা পেয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।যারা জাল টাকার প্রতারিত শিকার হচ্ছে তারা বলেন, এখন থেকে যদি প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন না করে তাহলে ভুক্তভোগী ও ক্ষতি গ্রস্থ হবে সাধারণ জনগণ। সাধারন মানুষের মন্তব্য যাতে করে প্রশাসন এই বিষয়টি নজরে নিয়ে আইনি ব্যবস্তা গ্রহন করবেন এবং এ সমস্ত জাল টাকার মূল হোতাদের জরুরী ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনা হোক।
ব্যবসায়ি রেজাউল করিম ও রোকন উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর ঈদ এলেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই ধরনের প্রতারনার জন্য উঠে পরে লাগে কিন্তু কালীগঞ্জের প্রশাসনের জন্য প্রতারক চক্র সফল হতে পারেনা। প্রতিবারের মত এবারও সফল হতে পারবেনা ওই প্রতারক চক্র। এ চক্রটি বেশির ভাগ সন্ধার পরে মুদি সামান্য কয়েক টাকার মালমাল কিনে ৫,শ বা ১ হাজার টাকার নোট দিয়ে থাকে। অনেক সময় দোকান মালিকদের হাতে ধরা পড়ে আবার অনেক সময় জাল টাকা ধরা পড়ে না। জাল টাকার কারবারিরা সংঘবদ্ধ ভাবে কালীগঞ্জ বাজারে প্রতারনার কারবার করে থাকে। এ চক্রটি প্রতিদিন সন্ধার পরে বাজারে বের হয়। এদের কাছে বেশি টাকা থাকে না ১ বা২ টা নোট চালাতে পারলেই তাদের আর কিছু করা লাগে না। যখন এরা ধরা পড়ে তখন টাকা নিয়ে দ্রুত দোকানের সামনে থেকে সরে পড়ে, যাতে জনসাধারন বা প্রশাসনের হাতে ধরা না পড়ে। অনেক সময় চক্রটি টাকা ভাংটি করে নিয়ে চোলে যায়। এরা এমন ভাবে দোকানে ক্রেতা সেজে আসে দেখলে মনে হয় এরা অসহায় বা দিন মজুরির কাজ করে। নোংরা পোশাক পোরে দোকানে আসে ক্রেতা সেজে। দেখলে মনে হবে না এরা একজন প্রতারক।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুস আলী বলেন, আমরা অভিযোগ পাইনি এমন অভিযোগ আমরা পেলে সাথে সাথে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব। অবশ্য শহরের প্রতিটি মোড়ে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে। যাতে করে ঈদে ক্রেতারা কোন প্রকার প্রতারনা বা সমস্যার মুখে না পেড়ে।