নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন কে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তিনি এখন আতংকগ্রস্থ অবস্থায় সময় কাচাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তিনি জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের পক্ষের লোকজন পরাজিত হওয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার সকালে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে খুজে না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে। তখন তারা আমাকে উদ্যেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনাটি এলাকার অনেকেই বিষয়টি অবগত আছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে দ্বন্দ চোলে আসছে। ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এর আগের চেয়ারম্যান রুহুল কে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। যে কারণে এ ইউনিয়নে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এখানে ক্ষতাসীন দলের মধ্যে ৩ ভাগে বিভক্ত করার কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
গত ৩ মে জনগনের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখার জন্য নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উম্মুক্ত আলোচনা সভায় জনসম্মুখে ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময়ে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া মনোযোগ দিয়ে ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের কথা শোনেন এবং আমলে নেন। গত ১৬ই মার্চ নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান কবির হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। নলডাঙ্গা ইউনিয়নের এই জনপদটি সবসময়ে উত্তপ্ত থাকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলের কারনে। বিভিন্ন সময়ের নির্বাচন বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে এই জনপদের মানুষ গুলো ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠিতে বিভক্ত হওয়ার কারণে সামাজিক দ্বন্দ প্রকট রুপ ধারন করেছে।