কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাবনী খাতুন (২২) নামের এক সন্তানের জননী এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শশুরবাড়ীর লোকজনের দাবী আত্মহত্যা এবং পিতার দাবী হত্যা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের তার স্বামীর বাড়ী থেকে এ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ।
লাবনী খাতুন মিরপুর পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের তুহিন আহম্মেদের স্ত্রী এবং একই মহল্লার সুলতান মন্ডলের মেয়ে।
লাবনীর চাচা দানেজ মন্ডলের জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমার ভাতিজী লাবনীকে তার স্বামী এবং শশুর বাড়ীর লোকজন টাকা পয়সা চাইতো। টাকা না দেওয়ায় তাকে শারিরিক নির্যাতন চালাতো। লাবনীকে তার স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজনই অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। এখন তারা বলছে আত্মহত্যা করেছে।
মিরপুর থানার এসআই লাল চাঁদ জানান, স্থানীয়রা ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে লাবনীর স্বামী তুহিন আহম্মেদ (৩০) পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৫ এপ্রিল মিরপুর পৌরসভার সুলতানপুর একই মহল্লা থেকে দুই সন্তানের জননী সানজিদা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই ১৫ দিনের মাথায় একই মহল্লা থেকে আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ।